বাউফলে নদীভাঙন আতংকে শিক্ষার্থীদের স্কুল ত্যাগ

বাউফলে নদীভাঙন আতংকে শিক্ষার্থীদের স্কুল ত্যাগ

দূর্জয় দাস,  বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের চরবাসুদেব পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন আতংকে ইতিমধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুল ত্যাগ করে চলে গেছে। যে কোন মুহুর্তে ওই বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ২০১৭ সালে সৌদি আরবের নাম প্রকাশ না করা দাতার অর্থায়নে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ফায়েল খায়ের’নামে বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,তেঁতুলিয়া নদীর ভয়াভহ তান্ডবে নদী গর্ভে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে ধুলিয়া ইউনিয়নের চরবাসুদেব পাশা এলাকা। ইতিমধ্যে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত সেখানকার আশ্রয়ন প্রকল্প নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিডর পরবর্তী সময়ে জাপানের সহায়তায় ওই আশ্রয়ন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। সেখানে ৪০টি ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়। সম্প্রতি নদী ভাঙনে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প বিলীন হওয়ায় ভূমিহীন পরিবারগুলো এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে চরবাসুদেব পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন,২ বছর আগেও এই বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল। নদী ভাঙনে সব হারিয়ে যাওয়ায় এখন অনেকেই চলে গেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে মাত্র ৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মাত্র কয়েকগজ দূরে প্রমত্তা তেঁতুলিয়া অবস্থান করছে। যে কোন মুহুর্তে তেঁতুলিয়ার অতলে হারিয়ে যাবে আমাদের বিদ্যালয়।
ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির দেওয়ান সাংবাদিকদের বলেন,তেঁতুলিয়ার অব্যাহত ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে। গত বছর একনেকের সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙনরোধের জন্য ৭১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প দিয়েছেন। বর্তমানে সেই প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু তেতুলিয়ার বুকে জেগে থাকা চরবাসুদেব পাশা রক্ষার জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই চরবাসুদেব পাশা ধুলিয়া ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিনি বলেন,৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত বিদ্যালয়ের অত্যাধুনিক ভবনটি রক্ষার জন্য স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ এর মাধ্যমে উন্নয়নের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি করছি যাতে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হয়।
বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, ভাঙণের মুখে থাকা বিদ্যালয়টি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।